যোনিতে চুলকানি ও ফুসকুড়ি হলে করণীয়।

যোনিতে ফুসকুড়ি হলে যা করা দরকার সে বিষয়ে সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যোনিতে ফুসকুড়ি হয় বিভিন্ন কারণে। বিশেষ করে ইনফেকশন ও অটোইমিউন সিস্টেমের কারণে এই অংশে সবচেয়ে বেশি ফুসকুড়ি হয়।

যে কারণেই ফুসকুড়ি হোক না কেন তার সঠিক চিকিৎসার প্রয়োজন। দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার যোনিতে ফুসকুড়ির কারণ এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করবেন।

এক্ষেত্রে ঘরোয়া প্রতিকার গুলি অনেকটা কাজে আসে। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন। এই আর্টিকেলটিতে যোনিতে ফুসকুড়ি সংক্রান্ত নানা বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য হেল্পফুল হবে।

{tocify} $title={Table of Contents}

যোনিতে ফুসকুড়ির লক্ষণ

যোনিতে ফুসকুড়ি হলে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যাটি হয় তা হলো চুলকানি। চুলকালে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে থাকে। সাধারণত লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে:
  • জ্বালাপোড়া ও চুলকানি
  • যোনিতে ঘা অনেক সময় ফোস্কা পড়ে যায়
  • ত্বক লাল বা বেগুনী হয়ে যায়
  • পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা হতে পারে

যোনিতে ফুসকুড়ির কারণ

যোনিতে ফুসকুড়ি প্রতিরোধ ও এর সঠিক চিকিৎসার জন্য এর কারণগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কনটাক্ট ডার্মাটাইটিস,‌ ব্যাকটেরিয়াল,ভাইরাল, ফাঙ্গাল ও অন্যান্য জীবাণুর সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়া বাহ্যিক রাসায়নিক প্রভাবে চুলকানি ও ফুসকুড়ি হতে পারে। যেমন: সুগন্ধযুক্ত পাউডার, টিস্যু, সাবান ইত্যাদি ব্যবহারের ফলে হতে পারে।

যোনিতে ফুসকুড়ি হলে করণীয় এবং যোনিতে চুলকানি হলে ঘরোয়া উপায়।

ফুসকুড়ি দূর করতে যা করা উচিত

যোনিতে ফুসকুড়ি থাকলে যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে তা আপনার নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। ওষুধের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া পদক্ষেপ দ্রুত ফুসকুড়ি নিরাময়ে সাহায্য করবে। সংক্রমণের কারণে ফুসকুড়ি হলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।

ফুসকুড়ি ইস্ট সংক্রমণের কারণে হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ও টপিক্যাল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। যোনিতে স্ক্যাবিস এর কারণে ফুসকুড়ি হলে ডাক্তার চুলকানির ওষুধের পাশাপাশি স্কাবিস দূর করার ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।

স্ক্র্যাচ করলে বা চুলকালে ফুসকুড়ি বাড়ে তাই সর্বপ্রথম চুলকানি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে। সাবান, ড্রায়ার শীট, ট্যালকম পাউডার ইত্যাদি ব্যবহারে গোপনাঙ্গে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া হতে পারে। এই ধরনের দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। 

টাইট ফিট পোশাক ও অন্তর্বাস গোপনাঙ্গে চুলকানি সৃষ্টি করে। আরামদায়ক ঢিলেঢালা পোশাক এবং সুতির অন্তর্বাস পরিধান করতে হবে। পাশাপাশি শুষ্কতা রোধ করতে সুগন্ধি মুক্ত নিরাপদ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

ইস্ট সংক্রমণ দূর করতে ন্যাচারাল অ্যান্টিফাঙ্গাল (যেমন: চা গাছের তেল, নারিকেল থেকে বানানো তেল ইত্যাদি) ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়। সব ধরনের যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধে নিরাপদ যৌন মিলন বজায় রাখতে হবে। যোনিতে ফুসকুড়ির সঠিক কারণ ও রোগ নির্ণয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর্মী এবং ডাক্তারকে আপনার সমস্যা স্পষ্টভাবে বলতে হবে।

প্রতিরোধ করার উপায়

নিরাপদ যৌনমিলনের মাধ্যমে যৌনবাহিত রোগের কারণে সৃষ্ট ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করা যায়। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া থেকে মুক্ত থাকতে অ্যালার্জি যুক্ত খাবার ও অ্যালার্জি উদ্রেককারী বিষয় গুলি এড়িয়ে চলুন।

রোগ প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। কেননা উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। সুষম খাবার খাওয়া ও নিয়মিত ব্যায়াম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আমাদের প্রতিদিন সুষম খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এক কথায় নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

যোনিতে চুলকানি হলে ঔষধ

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। সাধারণত অস্বস্তি চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে যেকোনো অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খেতে হবে। চুলকানি ও র্যাশের কারণ খুঁজে বের করে মলম বা ক্রিম লাগাতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

যোনিতে ফুসকুড়ি চিকিৎসাযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা। ওষুধ সেবনের পাশাপাশি কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে ফুসকুড়ি হলে এর কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে ওষুধ প্রয়োগে লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কমে।

আশা করি যোনিতে ফুসকুড়ি সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের জানাতে পেরেছি।

N.Islam

আমি মোঃ নুরুল ইসলাম একজন সাধারণ ব্লগার। আমি পেশায় একজন কমিউনিটি প্যারামেডিক ও ফার্মাসিস্ট।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post